(প্রাচীন সাধুদের কথা)।।সাত কান্ড রামায়ণ পড়ে এখন তুমি বলছ সীতা কার মাসী?
সাত কান্ড রামায়ণ পড়ে এখন তুমি বলছ সীতা কার মাসী? যাক, কখনো কখনো মনের ঐরূপ অবস্থা হয়।
স্বামী ধর্মেশানন্দ। (প্রাচীন সাধুদের কথা)।।

সাত কান্ড রামায়ণ পড়ে এখন তুমি বলছ সীতা কার মাসী? যাক, কখনো কখনো মনের ঐরূপ অবস্থা হয়।
স্বামী ধর্মেশানন্দ। (প্রাচীন সাধুদের কথা)।।

সাত কান্ড রামায়ণ পড়ে এখন তুমি বলছ সীতা কার মাসী? যাক, কখনো কখনো মনের ঐরূপ অবস্থা হয়। স্বামী ধর্মেশানন্দ। (প্রাচীন সাধুদের কথা)।।
শ্রীম ছিলেন আমার পরম হিতৈষী ও মঙ্গলাকাঙ্ক্ষী।
একদিন তাঁকে বললাম, "ঠাকুর যে ভগবান, এ বিশ্বাস তো আমার হচ্ছে না।
" শ্রীম বললেন, "কী বল হে?
এতসব পড়েও, ঠাকুরের পার্ষদদের সঙ্গ করেও ঠাকুর যে ভগবান, এ বিশ্বাস এল না?
সাত কান্ড রামায়ণ পড়ে এখন তুমি বলছ সীতা কার মাসী?
যাক, কখনো কখনো মনের ঐরূপ অবস্থা হয়।
আমারও ঐরূপ হয়েছিল।
মনে পড়ে, ১৮৮২ কি ১৮৮৩ সালে এক দুপুরে খাওয়ার পর ঠাকুর বিছানায় শুয়ে আছেন।
আমি পাপোশের ওপর বসে তাঁর পায়ে হাত বোলাচ্ছি আর ভাবছি - ইনি সাধারণ মানুষের মতো খান, বেড়ান, ঘুমান; সাধারণ মানুষের মতো ব্যবহার করেন - ইনি কী করে জগতের সৃষ্টি-স্থিতি-লয়কর্তা হবেন?
ইনি কি মানুষরূপে এসেছেন মানুষকে কৃপা করবার জন্য - জগৎ উদ্ধার করবার জন্য?
এ কী করে সম্ভব?
ইনি তো দেহধারী মানুষ।
আমি এরূপ ভাবছি, তখন ঠাকুর হঠাৎ উঠে বসলেন ও বললেন, 'মাস্টার, তুমি কী ভাবছ?
তারপর নিজের হৃদয়ে হাত রেখে বললেন, 'এখানেই সব।
একে চিন্তা করলে সব হবে।
একে চিন্তা করলে সব হবে।
একে চিন্তা করলে সব হবে।
' - এই কথা তিনবার বলেই তিনি সমাধিস্থ হলেন।
"অনেকক্ষণ সমাধির পর তিনি নিম্নভূমিতে এসে মা-জগদম্বার সঙ্গে কথা বলতে লাগলেন, 'মা, আমি তো কিছু জানি না।
তুই যেমন বলালি তেমনি বললাম।
আমি তো বালক।
মা, আমি কি কিছু দোষ করলাম? তুই আমার মুখ দিয়ে বললি।
' দেখ, এতেই বুঝলাম ঠাকুর ভগবান।
মা-জগদম্বা ও ঠাকুর এক।" - স্বামী ধর্মেশানন্দ। (প্রাচীন সাধুদের কথা)।।
No comments