তুমি ভাগ্যবান অনেকেরই এ-ধরনের অনুভূতি হয়েছে এখানে ৷ ঠাকুর আজও রয়েছেন ৷II এক নতুন অভিজ্ঞাতা আজ লিখছি II Writing a new experience today
তুমি ভাগ্যবান অনেকেরই এ-ধরনের অনুভূতি হয়েছে এখানে ৷ ঠাকুর আজও রয়েছেন ৷

Writing a new experience today
তুমি ভাগ্যবান অনেকেরই এ-ধরনের অনুভূতি হয়েছে এখানে ৷ ঠাকুর আজও রয়েছেন ৷

রামকৃষ্ণ
মিশনের সাধুরা অলৌকিক ব্যাপারগুলি
নিয়ে আলোচনা করেন না ৷ নিজেদের
উপলব্ধি নিয়েও নয় ৷ তবুও
দীর্ঘকাল তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে
থাকায় অনেক কিছু জেনেছি ৷ কখনো
জোর করে প্রশ্ন করে ৷ আমার
জীবনের একটি ঘটনা—তখন
আমি বেলুড়মঠে ৷ সন্ধ্যেবেলায়
আমার ডিউটি শ্রীরামকৃষ্ণ-মন্দিরে
৷ আরতির পর ঠাকুরের শয়ন ঘর
পরিষ্কার করা ৷ মন্দিরের
দোতলায় তাঁর ব্যবহৃত
জামা-কাপড়-জুতো-বই
৷ সেখান থেকে সিঁড়ি উঠে গেছে
তিনতলায় ৷ ঠাকুরের শয়ন ঘর ৷
বেশী জিনিস নেই ৷খাট,
একজোড়া
চপ্পল ইত্যাদি ৷ আরতির
পর সিঁড়ি ঘর সব ঝাঁট দেওয়ার
পর কাপড় দিয়ে মেঝে পরিষ্কার
করা শুরু করেছি ৷ হামাগুড়ি
দিয়ে মুছছি ৷ হঠাৎ
মনে হল,
কেউ
যেন ঘরে আবির্ভূত হয়েছেন ৷
খাটের পাশে দাঁড়িয়ে ৷ বিরাট
শরীর ৷ মনে হল ন-দশ
ফুট উচ্চতা ৷ বেশ বড় ফিগার ৷
পেছনে তাকালাম হামাগুড়ি
অবস্থায় ৷ না,
কেউ
নেই ৷ আবার মোছা শুরু করলাম
৷ কয়েক সেকেণ্ড পরে আবার সেই
অনুভূতি ৷ উঠে দাঁড়ালাম ৷ ঘরের
চারদিক দেখলাম ৷ দরজা দিয়ে
বেরিয়ে এসে দেখতে গেলাম সিঁড়িতে
কেউ আছে কি না ৷ না,
কেউ
নেই ৷ আবার শুরু করলাম ঘর মোছা
৷ আবার সেই একই অনূভূতি ৷ ঠিক
ভয় নয়,
তবে
কেমন যেন রহস্যময় ৷ বাতাসে
ঢেউ ৷ তিনতলায় আমি একা ৷ দোতলায়
কেউ নেই ৷ একতলায় হয়তো তিন-চারজন
সাধু-ব্রহ্মচারী
৷ এবার দোতলায় নেমে এলাম ৷
ন্ -নাঃ,
কেউ
তো নেই ৷ তিনতলায় গিয়ে আবার
কাজ শুরু করলাম ৷ এবং সেই
অনুভূতি,
আবার
৷ ভয় করছে না,
তবে
কেমন যেন অস্বস্তি ৷ স্পষ্ট
বুঝতে পারছি কেউ রয়েছেন এই
ঘরে ৷ মনের খেয়াল বলে উড়িয়ে
দিতে চাইলাম ৷ কিন্তু এমন
তীব্র,
স্পষ্ট
অনুভূতি যে একে খেয়াল বলে
বাতিল করতে পারছি না ৷ যতক্ষণ
কাজ করছিলাম—প্রায় ২০-২৫
মিনিট—স্পষ্ট অনুভব করতে
লাগলাম ৷ পরে ধীরেন মহারাজকে—যিনি
বহুবছর ধরে এই মন্দিরে ঠাকুরের
পুজো করতেন—এ বিষয়ে বলেছিলাম
৷ তিনি হেসে বললেন ঃ তুমি
ভাগ্যবান অনেকেরই এ-ধরনের
অনুভূতি হয়েছে এখানে ৷ ঠাকুর
আজও রয়েছেন ৷ মন্দিরে নিত্যপুজো
করতেন ননীগোপাল মহারাজ ৷
তাঁকেও প্রশ্ন করেছিলাম এ
ব্যাপারে ৷ তিনি সমর্থন করলেন
আমায় ৷ বললেন এই অনুভূতি তাঁরও
হয়েছে বহুবার ৷ আরও অনেক
উপলব্ধির কথা শোনালেন তিনি
৷ একবার ভোরে এই শয়নঘরে
এসেছেন তিনি কাজে ৷ ব্রাহ্মমুহূর্ত চারদিক
তখনো অন্ধকার ৷ ঘরে ঢুকতেই
দেখলেন,
এক
লম্বা আলোর জ্যোতি বেলুড়মঠের
শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দির ও
দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দিরকে
যুক্ত করে রয়েছে ৷ যেন এক
আলোর সেতু ৷ বিস্ময়ের ঘোর
কাটিয়ে তিনি আবার তাকালেন ঐ
জ্যোতির্ময় পথের দিকে ৷ আকাশে
তীব্র আলোর জ্যোতির্ময় নদী
যেন ৷
--স্বামী
সোমেশ্বরানন্দ
No comments