বাবা "ভোলানাথ কে" কি কি অর্পন করবেন ???

বাবা "ভোলানাথ কে" কি কি অর্পন করবেন ???

1)**"বেলপাতা":

বেলপাতা ত্রিফলক যুক্ত একটি পাতা ।পুরাণ মতে বেল পাতার পেছনের অংশে মা লক্ষ্মীর বাস। বেল পাতা তিন গুন স্বত্ব, তম, ও রজ গুণের ও ত্রিদেব এর প্রতীক। তাই বেলপাতা দেবাদিদেব শিবের অনেক প্রিয়। তাই শিবলিঙ্গ পূজায় অবশ্যই বেলপাতা লাগে।

**এগারো(১১)টি বেলপাতা দিয়ে তৈরি মালা শিবলিঙ্গে অর্পণ করলে অশুভ প্রভাব জীবন থেকে দূরে সরে যায় বলে বিশ্বাস রয়েছে !

2)**"ধুতুরা ফুল":

ধুতুরা মহাদেব শিবের অত্যন্ত প্রিয় ফুল।বিবিধ পুরাণ অনুযায়ী শিবলিঙ্গ ধুতুরা ফুল দিয়ে পূজা করলে জীবনে সমৃদ্ধি আসে। এর ফলে জীবন অনেক সহজ হয় !

3)**"আকন্দ ফুল":

আকন্দ ফুলের পাঁচটি খণ্ড থাকে যা শিবের পঞ্চানন রূপকে নির্দেশ করে।আকন্দের রং সাদা।সাদা রং সরলতার ,সহজতার প্রতীক। শিব আশুতোষ এবং তিনিও সহজ ও সরল। তাই আকন্দ ফুল শিবের অত্যন্ত প্রিয়। পুরাণ অনুযায়ী শিব পূজোয় একটি আকন্দ ফুল অর্পণ করার অর্থ হলো সোনা দান করার মতো ফল পাওয়া যাবে।

4)**"দুধ ও গঙ্গাজল":

শিবলিঙ্গে দুধ প্রদান করার জন্য জন্য তামার পাত্রই ব্যবহার করা উচিত। শিব পূজার সময় অবশ্যই দেওয়া হয় দুধ ও গঙ্গাজল। শিবলিঙ্গে দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করানোর বিধি অতি প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে। বিশ্বাস করা হয় যে, এর ফলে জীবন সুখের হয়।

5)**তিল:

শিবলিঙ্গে তিল প্রদানে অনেকেই শনির সাড়ে সাতি দশা কাটায়।এই রীতিও বহু প্রাচীন।

6)**দূর্বা ঘাস:

শিবলিঙ্গে দুর্বাঘাস প্রদান করলে নীরোগ জীবন লাভ হয় বলে বিশ্বাস। তাই সকলেই শিবলিঙ্গ পূজায় দূর্বা ঘাস ব্যবহার করে।

7)**আতব চাল:

আতব নির্দেশ করে ধন , সম্পদ প্রতিপত্তিকে।আর্থিক সমৃদ্ধিকে অব্যাহত রাখতে শিবলিঙ্গে চাল প্রদান করাও প্রাচীন রীতি।

8)**কর্পূর:

কর্পূরের সুগন্ধ ভগবান শিবের সবথেকে প্রিয়। এই গন্ধ পরিবেশকে পবিত্র ও শুদ্ধ করে। কর্পূর দিয়ে পূজো করলে ভগবান শিব প্রসন্ন হন।

-হর হর মহাদেব!!!